আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে ১২ নভেম্বরকে প্রস্তাবিত উপকূল দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জলবায়ু সংকটে বিপর্যস্ত উপকূলের জানমালের সুরক্ষার দাবিতে ।
সমাবেশে উপকূল সুরক্ষায় যুব ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়।
রবিবার (১২ নভেম্বর) শ্যামনগরের কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ঝাঁপালীর খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে ৭০’র ভোলা সাইক্লোনে প্রয়াত উপকূলবাসীর স্মরণে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ও উপকূলীয় শিক্ষা বৈচিত্র্য উন্নয়ন সংস্থা (সিডিও) এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এসময় কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের সভাপতি মোঃ রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাহাবুদ্দীন, সিডিও ইয়ুথ টিমের ইমরান হোসেন, এসএসএসটি’র সাইদুল ইসলাম, বারসিক’র বরষা গাইন, আলতাফ হোসেন, সাকিলা পারভীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত বহুমুখী দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে। জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙ্গন, ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন ভয়াল দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সংকট প্রকট হচ্ছে। অবশ্যই জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দায়ী দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
এগুলো হলো- ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। উপকূলীয় এলাকায় সরকারিভাবে সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিত ও টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উপকূলবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করতে হবে। উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকারকে জাতীয়ভাবে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। কৃষি জমি ও চিৎড়ি চাষের জন্য আলাদা-আলাদা অর্থনৈতিক জোন তৈরি করতে হবে। সরকারিভাবে বৃক্ষরোপণ, সুন্দরবন ও তার জীব বৈচিত্র্য সুরক্ষায় কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।