মোটরসাইকেল আটকে ঘুষ চাওয়ায় থানায় পুলিশের সামনে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ উগান্ডার এক তরুণ।
বৃহস্পতিবার মাসাকা জেলার একটি থানায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাজধানী থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূর মাসাকা জেলায় সোমবার মোটরসাইকেলটি আটক করে পুলিশ। অন্যান্য সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ২৯ বছর বয়সী হোসেইন ওয়ালুগেমবিরের কাছে মোটরসাইকেল ছাড়ানোর জন্য পুলিশ ৪০ ডলার ঘুষ চায়। সে মোটরসাইকেলটি ছাড়াতে বেশ কয়েকবার থানায় গিয়েছিল। তবে কোনোভাবেই মোটরসাইকেলটি ছাড়াতে পারেনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার থানার একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গায়ে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ওই ঘুষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই তরুণ পুলিশ কোয়ার্টারে থাকত এবং পুলিশের খাবার সরবরাহ করত। উগান্ডায় মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পরিবহন একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
তার মোটরসাইকেলটি দিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন। করোনার কারণে উগান্ডায় সকাল-সন্ধ্যা কারফিউ জারি রয়েছে। কারফিউ ভঙ্গ করে ওয়ালুগেমবির এক সহকর্মী তার মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।
পুলিশের আঞ্চলিক মুখপাত্র এনসুবুগা মোহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার মাসাকা শহরের থানায় জব্দ করা মোটরসাইকেলটি নিতে এসেছিলেন ওয়ালুগেমবি। এ সময় পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এরপরই নিজের জ্যাকেট থেকে জ্বালানি তেলের কনটেইনার বের করে গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওয়ালুগেমবি।
এক বিবৃতিতে জাতীয় পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার সময় পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জড়িয়ে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওয়ালুগেমবি। তবে ওই কর্মকর্তা সামান্য আহত হলেও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন। তবে আগুনে কয়েকটি কম্পিউটার ও ফাইল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।