হিজরি প্রথম শতকে হাতে লেখা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বিরল কপি সংরক্ষিত রয়েছে ইরাকে। যা পশুর চামড়ার ওপর খোদাই করে লেখা। পবিত্র কোরআন শরিফ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ৮০টি নথি। রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী প্রদর্শিত হচ্ছে সুপ্রাচীন সেসব পাণ্ডুলিপি। যা তুলে ধরছে ইসলামের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য।
কাগজ-কলমে লেখার ধারা তখন ছিল না। তাই পশুর চামড়ায় খোদাই করে লেখা হয়েছে প্রতিটি হরফ। যা জানান দিচ্ছে ইসলামের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে। পবিত্র কোরআন ছাড়াও রয়েছে আরও ৮০টি পাণ্ডুলিপি।
ইরাকের জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক আহমেদ আল-আলওয়ায়ি বলেন, বহু পুরানো এবং মহামূল্যবান কোরআনের প্রদর্শনী হচ্ছে। হিজরি প্রথম শতকে হাতে লেখা এগুলো। পশুর চামড়ার ওপর খোদাই করে লেখা হয়েছিল। এগুলো ইরাকের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
ইরাকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, সেসময়কার লেখকদের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপিগুলোর একটি করে কপি সংরক্ষিত রয়েছে তাদের কাছে। যেগুলো আরবির ভাষার সর্ব প্রাচীন ক্যালিগ্রাফি- কুফিক’এ লেখা। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সরাসরি পরিচিতির সুযোগ পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আহমেদ আল-আলওয়ায়ি আরও বলেন, প্রদর্শনীটি মূলত এই ধরনের বিরল পাণ্ডুলিপির সাথে পরিচিত হওয়ার একটি বিশাল সুযোগ। আরবি ক্যালিগ্রাফির ইতিহাস, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ প্রকাশের ধরন, লেখার নান্দনিকতা সবই উঠে এসেছে এর মাধ্যমে।
হিজরি প্রথম শতকের হাতে লেখা বিরল কোরআন শরিফ ছাড়াও বিভিন্ন ভাষা এবং বিষয়ের ওপর লেখা ৪৭ হাজারের বেশি পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে ইরাকে।