প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে আরো ছড়িয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এতে করে তাঁরা যেমন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে তেমনি দেশও সামনে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জানার মধ্যদিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মের ভেতর একটা চেতনা জাগ্রত হবে, দেশপ্রেমে তারা উদ্বুদ্ধ হবে এবং মানুষের কল্যাণে তারা আরো কাজ করতে অনুপ্রেরণা পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) কার্যালয়ে স্থাপিত ‘মুজিব কর্ণার’ উদ্বোধনকালে দেয়া ভাষণে আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই মানসিকতা যত বেশি ফিরে আসবে তত আমার দেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজকে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কেননা ২১ বছর আমাদের বিজয়গাঁথা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, নতুন প্রজন্মের অনেকে সে ইতিহাস জানতেই পারেনি। আজকে তা আবার ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমগ্র বিশ^ এখন বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিশে^ও অনেক দেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে আমাদের সশ¯্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদ্যের ভূমিকার প্রশংসা করে। বিদেশি অতিথিরা দেশে এলে তাঁদের নিরাপত্তায় থাকা এসএসএফ সদস্যদেরও ভূয়সি প্রশংসা করে থাকেন বলে তিনি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, এই যে কর্নারটা করা হয়েছে সেখানে ইতিহাসের অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কাজেই যারা দায়িত্ব পালন করতে আসবে তারা একদিকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, আর বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার প্রেরণা পাবে। কারণ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানে যেমন সমৃদ্ধশালী হতে হবে, তেমনি ইতিহাসের শিক্ষা থেকেই আমরা আগামী দিনের ভবিষ্যতটা আরো উজ্জ্বল করবো, উন্নত করবো।
তিনি এসএসএফ সদস্যদের জন্য তাঁর দোয়া ও আশির্বাদ জানিয়ে বলেন, তিনি যখন দোয়া করেন শুধু নিজ পরিবারের জন্যই নয়, সহকর্মী এবং দেশবাসীর জন্যও দোয়া করেন। বিশেষ করে যাঁরা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরও মঙ্গল কামনা করেন তিনি।
আমাদের দেশ অনেক রক্তপাত ও ত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে তা যেন বৃথা না যায় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়রর সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।