ইতালির সঙ্গে ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হতে চায় সৌদি আরব। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব দুই হাজার ২৫০ মাইল।
সেটি বিবেচনায় এনেই বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচের এই দেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। ইতোমধ্যে সবরকম প্রস্তুতিও সেরেছে দেশটি। কাতারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জন করতে চায় সৌদি আরবও। তাই ২০৩০ সালের সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় না তারা।
সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানা টুর্নামেন্ট আয়োজন শুরুও করেছে তারা। গত কয়েক বছরে টুর্নামেন্ট আয়োজনে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচও করে ফেলেছে সৌদি প্রশাসন।
স্প্যানিশ সুপার কাপের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে এই মরুরাজ্যে। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার মতো দল খেলে এসেছে সেখানে। এমনকি ইতালিয়ান সুপার কাপের ম্যাচও হয়েছে সৌদি আরবে।
২০১৯ সালে অ্যান্থনি জোশুয়া ও অ্যান্ডি রুইজ জুনিয়রের হেভিওয়েট বক্সিংয়ের ওয়ার্ল্ড টাইটেল ম্যাচও হয়েছে সৌদিতে। গলফের ইউরোপিয়ান ট্যুরের পর ফর্মুলা ওয়ানের রেসের আয়োজন করেছে তারা।
সব টুর্নামেন্টই সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। তাই অর্থের প্রাচুর্যতায় পূর্ণ দেশটি ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি তুলতেই পারে।
তবে সৌদির এই দাবিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় ইংল্যান্ড।
উরুগুয়েকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজক হওয়ার দাবি জানাতে ইচ্ছুক আর্জেন্টিনাও।
তথ্যসূত্র: মার্কা, দ্য অ্যাথলেটিক