আবারো ইউরোপকে পাশে পেয়েছে ফিলিস্তিন। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের যে পরিকল্পনা দেশটির সরকার হাতে নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপের আইন প্রনেতারা। ইউরোপের ২৫টি দেশের কমপক্ষে এক হাজার আইনপ্রনেতা এ নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ এ অঞ্চলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ বন্ধ করে দেবে। একইসঙ্গে নতুন করে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানান তারা।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় আইন প্রনেতারা ইসরায়েলের প্রতি শান্তির লক্ষ্যে কাজের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, যে কোনো উপায়েই হোক দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ খোলা রাখতে হবে। এর আগে নতুন করে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের ঘোষনা দিয়েছিল ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তখন বলেন, আগামী ১লা জুলাই থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে।
একে সমর্থন দিয়েছে মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রও। ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারো জোটটির অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলো আলাদা আলাদাভাবে ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। তবে এবার একইসঙ্গে সহস্রাধিক আইনপ্রনেতারা ফিলিস্তিনের দাবির পক্ষে মত দিলেন।
ইতিমধ্যে ট্রাম্পের ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা। নতুন করে ইসরায়েলের এমন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হচ্ছে গাজায়। গত ২৩ জুন ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে কয়েকটি দেশের বিদেশি কূটনীতিকরাও যোগ দেন। মঙ্গলবার প্রকাশ পাওয়া ইউরোপীয় আইন প্রণেতাদের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে এসে জোর করে জায়গা দখলের কোনো সুযোগ নেই। ইসরায়েল এ কাজ করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় নেতাদের আরো বড় ভ’মিকা রাখার আহ্বান জানান আইনপ্রনেতারা। এতে আরো বলা হয়, ইউরোপের আইনপ্রণেতারা বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। এতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়।