মৌলভীবাজারে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এতদিকে মৃত্যুর আগে নাজমুল ফেসবুকে জানান, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে এভাবে মারা হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পার হয়ে গেলেও এজহারভুক্ত ১১ জন আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র দুইজন।
গ্রেফতারকৃত দু’জনের মধ্যে রয়েছেন প্রধান আসামি জুয়েল আহমেদ। পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তিনি ও সঙ্গীরা মিলে মৌলভীবাজারের একটি বাড়িতে পরিকল্পনা করেই হত্যা করেন নাজমুলকে। জুয়েলের দাবি, বছর দুয়েক আগে এই নাজমুল হাসানই হামলা চালিয়েছিলেন তার ওপর!
নিহত নাজমুল রহিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিও ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
এদিকে, ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন নাজমুল। এসময় একটি মাইক্রোবাসে আসা ৮-১০ জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাবার আগে ফেসবুকে গুরুতর আহত অবস্থায় লাইভে এসেছিলেন নাজমুল। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে তার প্রার্থিতা ঘোষণার কারণেই তার ওপর হামলা করেছে তার প্রতিপক্ষরা। তিনি কয়েকজন হামলাকারীর নামও বলে যান সেই লাইভে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। এসময় একটি মাইক্রোবাসে আসা ৮-১০ জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাজমুলের। এর আগে আহত অবস্থাতেই নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বলেন, তার ওপর হওয়া এই হামলার মূল কারণ আসন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা। সেসময় হামলাকারী কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেন তিনি।
নাজমুলের মৃত্যুর পর ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মৃত নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধেও থানায় আগে মামলা আছে।
এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে এমন একটি ঘটনা ঘতায় ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে।