আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুলিশ ও র্যাব প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমি মনে করি এটা অবিসম্ভাবী পরিণতি।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এটাই তাদের পরিণতি। এই ধরনের যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, যারা জনগণকে হত্যা করে তাদের পরিণতি এভাবেই হবে। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, পুলিশকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করছে নির্মমভাবে—আজকে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল গণতন্ত্রের যে সম্মেলন হয়েছে সেই সম্মেলনে বাংলাদেশকে ডাকা হয়নি। এই সরকার বাংলাদেশকে আজ লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমার প্রশ্ন এখন, আমরা দেখতে চাই-জানতে চাই, এই সরকার এই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে রাখা উচিত, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী-কর্মকর্তা। তারা কোনো ব্যক্তি বা দলের দ্বারা পরিচালিত নন। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দায়িত্ব পালন করার দায়িত্ব আপনাদের নয়। একদিন না একদিন এই পরিণতি আপনাদের বহন করতে হবে।
আমরা জানি, কারা লুট করে সমস্ত পাচার করে দিচ্ছে দেশের বাইরে। কারা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বেগমপাড়ায় বাড়ি তৈরি করেছে। দেশের সবাই জানে। পরিণতি এটাই, এরপর দেখবেন দেশের সম্পদও আপনারা ভোগ করতে পারছেন না। আজকে বলা হয়েছে, এসব সম্পদ সব বাজেয়াপ্ত করা হবে। কী লজ্জা আমাদের! আমাদের পুলিশ প্রধান, আমাদের র্যাব প্রধান তাদের যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কী কারণে? তোমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছো, বেআইনিভাবে মানুষকে হত্যা করেছো। এর জবাব তো জনগণকে দিতেই হবে, বলেন ফখরুল।