জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে কয়েকজন প্রার্থনাকারীদের ওপর আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। এতে সাতজন আহত হয়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরে এ আক্রমণ করা হয়। অপরদিকে মুসল্লিদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। খবর আলজাজিরার।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে আহতের খবর জানিয়েছে। তবে কতজন আহত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের চিকিত্সকদের আল-আকসায় পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
মসজিদের বাইরে একজন বয়স্ক মহিলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি একটি চেয়ারে বসে (কোরআন) তিলাওয়াত করছিলাম। এসময় তারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। তার মধ্যে একটি আমার বুকে আঘাত করেছে।’
ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা আতশবাজি, লাঠি ও পাথর নিয়ে মসজিদের ভিতরে যাওয়ায় তারা আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশ প্রবেশ করলে, মসজিদের ভেতর থেকে তাদের দিকে পাথর ও আতশবাজি ছুড়ে মারে আন্দোলনকারীরা। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পায়ে আঘাত লেগে আহত হয়েছেন।’
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলমান রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসবে আরও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলো উপাসকদের ওপর হামলার নিন্দা করেছে। এটিকে তারা অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, ‘আমরা পবিত্র স্থানগুলোতে তাদের দখলদারিত্বের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করায় সতর্ক করছি, যা পরে একটি বড় সংঘর্ষ বাধাবে।’
ইসলামের তৃতীয় পবিত্র উপাসনালয় এবং ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান আল-আকসাকে টেম্পল মাউন্ট হিসাবে উল্লেখ করা হয়।