ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের খবর গুরুত্ব দিয়ে কভারেজ দিয়েছে আর্জেন্টিনার একমাত্র ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম। আলোচিত ওই সংবাদ ‘বুয়েনস এইরেস টাইমস’ ওই সংবাদ তাদের অনলাইনের ক্রীড়া বিভাগে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। ফুটবলপাগল এ জাতি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হলে দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে।
এএফপির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে কোন দেশ ভালো খেলে, দুটি ছেলের মধ্যে তা নিয়ে তর্কে হাতাহাতি হয়।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও কিছু ভক্ত। কোপার ফাইনাল হবে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই দেশের এই ফাইনাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গ্রামবাসীকে বলেছি তারা বড় পর্দায় এ ম্যাচ দেখতে পারবেন না। ফাইনালের সময় গ্রামবাসীকে জমায়েত হয়ে খেলা দেখতে নিষেধ করা হয়েছে।’
করোনা মহামারির মধ্যে একাধিক লোকের জমায়েত হয়ে খেলা দেখায় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। এ ছাড়া তর্ক-বিতর্কের জের হিসেবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঝুঁকি তো থাকেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ থাকলে কিংবা বিশ্বকাপে লাখো মানুষ পছন্দের দলের পতাকা ওড়ায়, রাস্তায় শোভাযাত্রাও বের করে।
গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পতাকা ওড়াতে গিয়ে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মারা যায়। এবার কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাতে গিয়েও গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘটে।
যুক্তিতর্ক থেকে তা কদর্য হাতাহাতি এমনকি প্রাণহানির পর্যায়েও গড়ায়। কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হওয়া নিয়ে এবার তেমন এক সংঘর্ষ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এই ঘটনা ও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের খবর প্রকাশের পর তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে।