পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আমসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে হূদয় ওরফে আরাভ খানকে ফেরাতে বাংলাদেশের চিঠি আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এখন ওই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরের অপেক্ষায় এ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন বলে সরকারের তরফ থেকে একাধিকবার বলা হলেও এখন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। আরাভ খান গতকাল মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে লিখেছেন, ‘রাখে আল্লাহ মারে কে, আলহামদুলিল্লাহ।’ এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
এর আগে গত ২২ মার্চ আরাভ তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দেশবাসির কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, আরাভ খানকে ফেরাতে গত মাসে এক্সট্রাডিশন ফাইল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠি তারা পেয়েছে বলেও নিশ্চিত হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে শিগগিরই তাঁরা কোনো জবাব পাবেন বলে আশা করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আরব আমিরাতের আসামি স্থানান্তরের কোনো চুক্তি নেই। চুক্তি না থাকলেও সরকার টু সরকার একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে। আরাভ খানকে ফেরাতে সেই সহযোগিতাই চাওয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তা আশাবাদী, শিগগিরই আমিরাত সরকারের কাছ থেকে চিঠির উত্তর পাবেন। সেখানে পরামর্শ থাকতে পারে।
গত মার্চে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন হয়েছে ‘আরাভের’। সেটি উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের কয়েকজন। আর সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দেশে তোলপাড় শুরু হয়।