আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএই থেকেঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের আয়োজনে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে গত তিন দিনে একাধিক সচেতনতামূলক সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে আজমানে দুয়ারে কনস্যুলেট ব্যানারে প্রবাসীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
সভায় প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করা, কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে সঠিকভাবে প্রেরণ এবং স্বর্ণ চালান ও হুন্ডি প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা হয়৷ বিশেষ করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কারণ চিহ্নিত করা ও সমাধানের বিষয়গুলো নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসীরা।
হুন্ডি প্রতিরোধে প্রবাসীরা বিভিন্ন মত দেন৷ তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, রেমিট্যান্স প্রেরণে ফি মওকুফ, প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা, আমিরাতে জনতা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ শাখা চালু করে দ্রুত টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা, দেশে প্রবাসীদের পরিবার টাকা উত্তোলনের সময়ে যেন হয়রানির শিকার না হোন সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং প্রবাসীদের পেনশনের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন প্রবাসীরা৷
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও কাউন্সেলর (শ্রম) ফাতেমা জাহানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুস সালেহীন, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের সভাপতি মোঃ মাহাতাবুর রহমান নাসির সিআইপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব ফকির মনোয়ার হোসেন, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিআইপি আইয়ুব আলী বাবুল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাজা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, আবুল কালাম সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদসহ দুই শতাধিক প্রবাসী৷
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুস সালেহীন বলেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা অবৈধভাবে দেশে যাক সেটা কাম্য নয়৷ দেশপ্রেমিক প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখছেন। সকল প্রবাসীরা যদি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান তাহলে দেশের রিজার্ভ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে৷ প্রবাসীদের উত্তাপিত পরামর্শগুলো সরকারের কাছে পোঁছে দেবেন বলেও জানান তিনি৷
কনসাল জেনারেল জামাল হোসেন বলেন, হুন্ডি কারবারি ও স্বর্ণ চালানের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ ইতোমধ্যে দেশে অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন। প্রবাসীদের যেসকল অভিযোগ বা পরামর্শ সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এদিকে গত দুই দিন আবুধাবি দূতাবাস ও দূতাবাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে একাধিক স্থানে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।