বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের উদ্যোগে ১৮ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো বিদেশের মাটিতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিজয় উৎসব।
এই উৎসবের মধ্যদিয়ে কূটনৈতিক সফলতা প্রকাশ পেয়েছে। বাঙালির বিজয় উৎসবে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৫ দেশের কূটনৈতিক ও শাসক পরিবারের সদস্যরা৷ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের শাসক পরিবারের পক্ষ থেকে ছিলেন ফুত্তাইম বিনত মাকতুম বিন রাশিদ আল মাকতুম, শারজার শাসক পরিবারের সদস্য শেখ আহমদ সাকর রাশিদ আহমদ আল কাসিমি, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ বাহরাইনের শাসক পরিবারের সদস্য শেখ আহমদ খলিফা বিন মোবারক আল খলিফা, মালয়েশিয়ার মেলাকা স্টেটের গভর্ণর ড. হাজি মুহাম্মদ আলি মুহাম্মদসহ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিকরা৷
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ-সচিবসহ অন্তত ৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের একটি মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস জেনেছে বিশ্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এদিকে দেশ বিদেশের ৫০ জন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকার পরিবেশনা ছিল একটি অন্যতম রেকর্ড। এ দিন শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি একসঙ্গে বিজয় উৎসব উদযাপন করেছে যা আমিরাতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷