বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিবেদকঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরার মূল শহর থেকে ৫০ কিলমিটার উত্তরে রয়েছে আল বিদা কিংবা আল বিদায়া নামের একটি পুরোনো মসজিদ।
দৃষ্টি নন্দিত মসজিদের সীমানার ভিতরে রয়েছে একটি পানির কোয়া। মসজিদের দর্জা কাঠ দিয়ে তৈরি। মসজিদের ভেতরে রয়েছে চমৎকার মিম্বর। মসজিদে আনুমানিক ১৫/২০ জন মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদটির নামকরণ করা হয় ২০০৩ সালে। ফুজাইরাহ প্রশাসনের তথ্যমতে ৫৭৫ সাল পূর্বে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। তবে কে বা কারা নির্মাণ করেছে তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময়ের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় নামাজ আদায় করার জন্য এটা নির্মাণ করা হয়েছিল।
মসজিদটির বিলবোর্ডে স্পষ্ট লিখা রয়েছে, ১৪৪৬ খ্রিস্টাব্দে মসজিদ নির্মাণ হতে পারে। তবে দেশটির অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন ১৪৪৬ থেকে ১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে তখন মসজিদের আশপাশে পাওয়া মাটির পাত্র ও চীনামাটির ধ্বংসাবশেষও ছিল ষোড়শ শতকের। এ সময় পর্তুগিজরা আরব সাগরে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো। পর্তুগিজ ইতিহাসেও বিদিয়া এলাকায় দুর্গ ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের কথা উল্লেখ আছে।
এদিকে আমিরাতে বসবাসরত এশিয়ান নাগরিক বিশেষ করে বাংলাদেশিদের মধ্যে মসজিদটি নিয়ে রয়েছে ভুল ধারণা। তারা অনেকে মনে করেন এই মসজিদ রাসুল (সাঃ) এর আমলের মসজিদ। অনেকে বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এখানে নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু এই তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য। মাত্র ৫ থেকে ৬ শত বছর আগের মসজিদটিকে রাসুলের সময়কার মসজিদ মনে করাটা অযৌক্তিক। মাটির এই মসজিদে গিয়ে নফল নামাজ আদায় করার মধ্যেও নেই কোন আলাদা ফায়দা। অন্য দু চারটা মসজিদের মতো এটিও একটি মসজিদ।