আগামী বছর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থী এবং যারা দীর্ঘসময় অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে ইচ্ছুক তারা দেশটিতে ঢোকার অনুমতি পেতে পারেন।
বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী সিমন বিরমিংঘাম। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও দেশব্যাপী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের ফলে করোনা মোকাবিলায় ভালো সফলতা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারপরও অন্তত আগামী ছয়মাস সীমান্ত বন্ধ রাখতে চায় দেশটি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশি শিক্ষার্থী ও যেসব আগন্তুক দীর্ঘসময় অস্ট্রেলিয়ায় কাটাতে চান তাদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের শর্ত প্রযোজ্য হতে পারে। অর্থাৎ তারা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার অনুমতি পেলেও নির্দিষ্ট দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।
অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস আন্তর্জাতিক শিক্ষাখাত। বছরে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আয় হয়ে থাকে এই খাতটি থেকে। তবে সীমান্ত বন্ধ থাকার ফলে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে তা পুষিয়ে উঠতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এর মধ্যে মারা গেছেন শতাধিক। তবে এক মাসেরও পরে বুধবার দেশটিতে নতুন করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে-২২ জন। এদের মধ্যে ১৫ জনই বিদেশফেরত।