করোনার কারণে এবারের আইপিএল ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হলো আরব আমিরাতে। সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, আগামী বছরের আইপিএলও আরব আমিরাতের তিন মরু শহরে আয়োজন করার।
আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌরভ গাঙ্গুলি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআেই)। যার ফলে দু’দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক তো ভাল হয়ে গেলই, একই সঙ্গে ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আমিরাতই হয়ে উঠবে ভারতের দ্বিতীয় ‘হোম’ ভেন্যু।
পাকিস্তানের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল এতদিন আরব আমিরাত। এবার সেই পাকিস্তানকে হটিয়ে দিয়ে আরব আমিরাত হয়ে উঠলো ভারতের ‘দ্বিতীয় হোম ভেন্যু’! ঠিকই পড়লেন। ভারতে করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলিদের দ্বিতীয় ‘হোম’ হিসেবে এবং এই এমওইউ চুক্তির পরে মনে করা হচ্ছে, আগামী আইপিএলও যদি আমিরাতে হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কারণ আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে ফের বসবে আইপিএলের আসর। আর্থাৎ আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আবার টুর্নামেন্ট শুরু হবে। ততদিনেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী আইপিএলও আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতে ক্রিকেট কামব্যাক নিয়েও ইঙ্গিত মিলল বিসিসিআইর পক্ষ থেকে। বিসিসিআইর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের ভারত সফর দিয়েই হয়তো এ দেশে করোনা পরবর্তী ক্রিকেটের সূচনা হবে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জন্য সে ক্ষেত্রে জৈব বলয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর আগেও অবশ্য বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি টিম ইন্ডিয়ার আসন্ন সিরিজগুলোর কথা জানিয়েছিলেন।
বলেছিলেন, নভেম্বরে চলতি আইপিএল শেষ হওয়ার পর ডিসেম্বরে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাবে কোহলি অ্যান্ড কোং। সেখান থেকে দেশে ফিরে ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাইশ গজের লড়াইয়ে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সীমিত ওভারের পাশাপাশি হবে টেস্ট সিরিজও। তবে সেই সময়ও মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিনিয়র কর্মকর্তার ভাষায়, প্রথমেই হয়তো সমর্থকরা গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন না। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে অনুমতি দেওয়া হবে।