নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক মাস বন্ধের পর গত জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয় দেশের এয়ারলাইনসগুলোকে। আর স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রতি ফ্লাইটেই ফাঁকা রাখতে হতো ২৫ শতাংশ আসন।
তবে আজ (১৩ জুলাই) থেকে এ বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাশাপাশি আসনেও যাত্রী নিতে পারবে এয়ারলাইনসগুলো।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেছনের সারির চারটি আসন খালি রেখে সব আসনেই যাত্রী নিতে পারবে এয়ারলাইনসগুলো। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক যাত্রীকেই ফেসগার্ড পরতে হবে। এয়ারলাইনসগুলো এটি সরবরাহ করবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য নির্দেশনা আগের মতোই বলবৎ থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর বণিক বার্তাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এর আগে এক আসনে যাত্রী বসলে পাশের আসন খালি রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল। এ নিয়ম আর থাকছে না।
পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রী বসতে পারবে। তবে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের অথরিটি (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ফ্লাইটের শেষ দুটি সারির আসনগুলো খালি রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, আইকাও ও সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী, ফ্লাইটে ওঠার আগে কোনো যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া অন্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে, যাত্রীদের বিমানবন্দরে
আসার আগেই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে, টার্মিনালে প্রবেশের পর যাত্রীরা যে এয়ারলাইনসে যাবেন, তারাও নতুন গ্লাভস ও মাস্ক সরবরাহ করবে, বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে, প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে; দূরের ফ্লাইটে খাবার দেয়া হতে পারে।