নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২৯ নভেম্বর অবরোধ ও ৩০ নভেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে দলটি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতির মতামতকে অগ্রাহ্য করে একতরফা গণবিরোধী তফসিল ঘোষণা করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তথাকথিত তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে কমিশন দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কতিপয় বিশ্বাসঘাতক ও স্বার্থপর লোক বাগিয়ে নিয়ে মৌসুমি দল সৃষ্টি করে ভুয়া নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। এটা আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। অপরদিকে নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শুনানি ছাড়াই জামায়াতের নিবন্ধন মামলাসংক্রান্ত আপিলটি খারিজ করে দিয়ে নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিকাশের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।
এ টি এম মা’ছুম বলেন, সরকার তার একক নির্বাচনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে গণগ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩০ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেআইনি গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ট আদেশ ও ফরমায়েশি একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি ও ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সারাদেশে আগামী ২৯ নভেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে ৩০ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অবরোধ এবং ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।