দিনাজপুরের বিরামপুরে বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশনের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুল ইসলাম (২৫)। শাহাবুল বিরামপুর উপজেলা ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুলের এক আত্মীয়ের বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এদিকে, শাহাবুলের বিয়ের পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতেই বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুলকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ওই তরুণী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শাহাবুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে তার বিয়ের প্রস্তাব এলেও শাহাবুল তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করতে নিষেধ করেন। সেই সঙ্গে বিয়ে করার কথা বলে কালক্ষেপণও করে যাচ্ছিলো। এরই প্রেক্ষিতে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেন শাহাবুল। ওই তরুণী বিভিন্ন সময় শাহাবুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও শাহাবুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই বিয়ের দাবিতে গত শুক্রবার সকাল থেকে শাহাবুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে শাহাবুল কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়েও যায়।
এ প্রসঙ্গে পলিপ্রয়াগপুর ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলী বলেন, চার দিন ধরে শাহাবুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মেয়েটি অনশনে ছিলো। সোমবার রাতে ছেলে–মেয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এ প্রসঙ্গে বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও লোকমুখে শাহাবুলের বিষয়টি জেনেছি। শাহাবুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে শাহাবুলকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।