সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভেতর ব্যাগভর্তি সাড়ে ১৪ লাখ টাকা পেয়ে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এক সিএনজি চালক। সিএনজি চালকের নাম মনির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়।
ব্যাগে থাকা অ্যাকাউন্ট বহি (চেক বই) থাকা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ব্যাগটির প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে রোববার দুপুরে টাকাসহ ব্যাগটি বুঝিয়ে দেয় আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া। ব্যাগটির মালিক রহিমা বেগম। তার স্বামী মৃত এনামুল হোসেন মন্টু ভূঁইয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে রহিমা বেগমসহ ৪ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজিযোগে সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তাদের সাথে একটি ব্যাগে ভর্তি সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা, জমির দলিলপত্র ও ব্যাংকের চেক বই ছিলো। কিন্তু সিএনজি থেকে নামার সময় ভুলে ব্যাগভর্তি টাকা সিএনজিতে রেখে নেমে যান তারা।
পরে সিএনজি চালক সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের মনির হোসেন শনিবার সকালে সিএনজি অটোরিকশার সিটের পেছনে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা দেখতে পান। বিষয়টি তিনি তার ফুফা বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে জানান। সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো সিএনজি যাত্রী চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে তিনি বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া রোববার দুপুরে রহিমা বেগমের হাতে ব্যাগভর্তি টাকা ফিরিয়ে দেন।
সিএনজি চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যাই। শনিবার সকালে সিএনজি পরিষ্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি দেখতে পাই। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, সিএনজি যাত্রী রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা সিএনজিতে ফেলে চলে যায়। সিএনজি চালক আমাকে জানালে আমি প্রকৃত মালিক ডেকে এনে তার হাতে টাকাগুলো তুলে দিয়েছি।