এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় পুরো ক্যাম্পাস যেন আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছিল। এখন পরিবেশ এমন— ক্যান্টনমেন্টের সঙ্গেও তুলনা করা যায়।
৩০ নভেম্বর রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ–বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সলিড ওয়েস্ট–ফ্রি ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও প্রশাসন এতে সহযোগিতা করে। একযোগে ১২টি পয়েন্টে পরিচ্ছন্নতাঃ পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচী উদ্বোধনের পর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এতে অংশ নেন ২৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ৩০০–এর বেশি শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— রেলস্টেশন, গোলচত্বর, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ছেলেদের ও মেয়েদের হল, চাকসু ভবন, কলা অনুষদের নতুন–পুরোনো ভবন, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জীববিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ—একযোগে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপ–উপাচার্য (প্রশাসনিক) মো. কামাল উদ্দীন বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আজ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছেন— এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে এবং এমন উদ্যোগ নিয়মিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও পরিচ্ছন্ন থাকবে। চাকসু ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরে এসেছেঃ পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ক্যাম্পাস ছিল প্রায় মরুভূমির মতো। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এখন ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরেছে। পরিচ্ছন্নতার চর্চা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অব্যাহত থাকলে তা সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। চাকসুর সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক তাহসিনা রহমান বলেন, আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষক–শিক্ষার্থীসহ সবার মাঝে পরিবেশ–বিষয়ক সাক্ষরতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে চাকসু। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চাকসুর সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, নির্বাহী সদস্য সোহানুর রহমান সোহান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সহ–সাধারণ সম্পাদক আয়ুবুর রহমান। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেয় গ্রিন ভয়েস, আওয়ার গ্রিন ক্যাম্পাস, ক্যারিয়ার ক্লাব, কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, চবি সায়েন্টিফিক সোসাইটি, ইউথ থ্রি–আর সোসাইটি, পিএডিএফসহ আরও কয়েকটি পরিবেশ–সামাজিক সংগঠন।
