ট্রাভেল এজেন্সি সংশোধন অধ্যাদেশ–২০২৫ খসড়া ‘সিন্ডিকেট তৈরির নীলনকশা’: আটাব

ট্রাভেল এজেন্সি সংশোধন অধ্যাদেশ–২০২৫ এর খসড়া আইনকে ‘সিন্ডিকেট তৈরির নীলনকশা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশের (আটাব) একাংশ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) পল্টনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, এই আইন বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নেতারা জানান, প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বৈধ পথে বিদেশে যান। হজে অংশ নেন ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি। এছাড়া শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশ ছাড়েন। তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই শ্রমিক, যারা নিয়মিতই অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার কারসাজির শিকার হন।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ ট্রাভেল এজেন্সি সংশোধন অধ্যাদেশ–২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন দেয়। এতে ১০ লাখ টাকা জামানত বাধ্যতামূলক করা, এজেন্সি-টু-এজেন্সি টিকিট বিক্রি নিষিদ্ধ করা, এবং অনিয়মে ১০ লাখ টাকা জরিমানা সহ বিভিন্ন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব শর্ত ট্রাভেল এজেন্টরা মানতে নারাজ।

মানববন্ধনে আটাব নেতারা অভিযোগ করেন, এই আইন ব্যবসাবান্ধব নয় এবং কয়েকজন অসাধু অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির দায় পুরো খাতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, বিমান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত এই আইন সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায় তৈরি করা হয়েছে, যা পর্যটন শিল্প ও শ্রমবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এ সময় তারা আরও বলেন, জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগকে ঐচ্ছিক করার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান হারাবে। নেতারা দ্রুত এই আইন বাতিল এবং খসড়াটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।

Facebook Comments Box
Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *