দেশজুড়ে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সব বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ। তিনি জানান, এ বিষয়ে সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে—
সব বিমানবন্দরে সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি, ভেহিক্যাল ও ফুট পেট্রোল বৃদ্ধি, মনিটরিং শক্তিশালীকরণ এবং সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি রাখতে হবে। পাশাপাশি জনবল সর্বোচ্চ মাত্রায় মোতায়েন, ফায়ার সার্ভেইল্যান্স জোরদার এবং সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সতর্ক অবস্থায় পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চিঠিতে আরও যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—
ক. কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা পূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
খ. বিমানবন্দরে শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত যাত্রীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে; সাধারণ জনগণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গ. নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে।
ঘ. বিমানবন্দরের প্রবেশ ও প্রস্থানপথে র্যান্ডম নিরাপত্তা তল্লাশি পরিচালনা করতে হবে।
ঙ. যাত্রী, ক্যাবিন ব্যাগেজ, কার্গো ও যানবাহনের যথাযথ তল্লাশি নিশ্চিত করতে হবে।
চ. বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের স্পর্শকাতর এলাকা ও সীমানা প্রাচীর এলাকায় নিয়মিত নিরাপত্তা টহল জোরদার করতে হবে।
ছ. স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর, সিসিটিভি ইত্যাদি নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রতিদিন পরীক্ষা করে কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জ. দায়িত্ব পালনের আগে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়মিত ব্রিফিং দিতে হবে এবং সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে।
ঝ. সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
ঞ. সিসিটিভি মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ট. গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইনসহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনা পরিদর্শন করে অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
ঠ. অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও সতর্কতা ২৪/৭ সক্রিয় রাখতে হবে।
