কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা নগরীতে স্বামী নবী নেওয়াজ (৪০) এর সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্ত্রী মোসা. কামরুননাহার সীমা (২৬) এর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানায় নবী নেওয়াজ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রসূত্রে জানা যায়, চার বছর পূর্বে ২০২০ সালে ঢাকার শাহবাগ থানার মোঃ শাহজাহান আলীর মেয়ে কামরুননাহারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন কুমিল্লা নগরীর উত্তর রেইসকোর্স এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে নবী নেওয়াজ। বিয়ের কিছুদিন পরই নবী নেওয়াজের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সীমা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে সীমা তার পরকীয়া প্রেমিক শরীফুলের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যা একসময় নবী নেওয়াজ বুঝতে পারে। এরপরই নবী নেওয়াজ সীমাকে তালাক দিয়ে দেয় ও বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এর কিছুদিন পর, সীমা আবার নবী নেওয়াজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে সুন্দরভাবে সংসার করার কথা দিয়ে আবারো তার নবীনেওয়াজের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও বাসায় আসা যাওয়া করে। এই সময় বিভিন্ন তালবাহানা করে সীমা, নবী নেওয়াজের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে যায়। পরে গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখে সীমা কোনোরূপ কাউকে না জানিয়ে ভুক্তভোগী নেওয়াজের ভাড়াবাসা থেকে চলে যায়। এরপর আর সীমা ভুক্তভোগী নেওয়াজের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নবী নেওয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরল মনে এই সিমা নামের মেয়েটিকে চারবছর আগে বিয়ে করি। আমি তখন তার উদ্দেশ্য বুঝতে পারি নাই। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই শুরু হয় তার ছলনা। পাতে নানা রকমের প্রতারণার ফাঁদ। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে সে ডিভোর্স দেয়ার পরও আবারো আমার জীবনে আসে। তারপর, আমার থেকে টাকা নিয়ে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে, আমি বুঝিতে পারি যে, সিমা আমার সাথে প্রতারনা করে বিয়ে করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পয়সা লুটিয়ে নেয়। শুধু আমিই নয়, সে এই নিয়ে আরো ৩ টি বিয়ে করেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। তার টার্গেট থাকে ধনীরা। বিয়ে করেই তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সে একজন টিকটকার, সেখান থেকেই সে তার টার্গেটদের খুঁজে নেয়। আমি প্রশাসন ও সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা মামলাটি নিয়েছি। অভিযোগটি আমাদের একজন এসআই তদন্ত করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা জানতে পেরেছি কামরুন নাহার একজন টিকটকার। সে টিকটক এর মাধ্যমে মানুষদেরকে সাথে প্রতারণা করছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আইনগতভাবে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নিব।