আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানির দীর্ঘদিনের সংকট দূর করতে স্থাপিত ন্যানো ফিল্টার ইউনিটগুলো অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) কর্তৃক প্রায় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এসব আধুনিক ইউনিট এখন অচল অবস্থার দিকে যাচ্ছে, যা এলাকায় পুনরায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি করতে পারে।
‘ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বাগেরহাট ও ফরিদপুর জেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের’ আওতায় ফরিদপুর সদর, সালথা ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একাধিক ন্যানো ফিল্টার স্থাপন করা হয়। এসব ফিল্টারের মাধ্যমে পুকুর বা দিঘির পানি চার ধাপে পরিশোধন করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৯৬০ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থাপনের পর প্রথম তিন বছর সরকারিভাবে ইউনিটগুলোর সার্ভিসিং করা হলেও বর্তমানে এর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এখন থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত।
আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মোট আটটি ন্যানো ফিল্টার স্থাপন করা হলেও নিয়মিত সার্ভিসিং না হওয়ায় অধিকাংশই প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
শুকুরহাটা গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম মাষ্টার জানান, “আমার বাড়ির পাশের ন্যানো ফিল্টারটির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলায় এসব যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না, কোথায় পাওয়া যাবে তাও জানা নেই। এত দামি ও দরকারি ইউনিটগুলো শুধু অবহেলার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
নওয়াপাড়া, পানাইল ও কুঠুরাকান্দীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, দ্রুত সার্ভিসিং না হলে এই ন্যানো ফিল্টারগুলো স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, “বিষয়টি জেলা অফিসে জানিয়েছি। দ্রুত সার্ভিসিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বজায় থাকে।
