বান্দরবানে ম্যালেরিয়া নির্মূলে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সংস্থা থাইল্যান্ডোর মাহিদুল অক্সফোর্ড রিসার্চ ইউনিটের সহযোগিতায় ম্যালেরিয়া নির্মূলে টিকা এবং ঔষধের কার্যকারিতা নির্ণয়ের জন্য বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলায় গবেষণামূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিতকরণ ও প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই অবহিতকরণ ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডা: মো: মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান গবেষক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: আবুল ফয়েজ। এসময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: এম এম নয়ন সারাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা: অংচালুসহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের ডাক্তার ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম এলাকায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর অনেক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। তাই ম্যালেরিয়া নির্মূলে ইতোমধ্যে টিকা ও ঔষধ আবিষ্কার করা হয়েছে। প্রথমদিকে বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার দূর্গম এলাকায় ম্যালেরিয়া নির্মূলে প্রাথমিকভাবে গবেষণা চালানো হবে। এই গবেষণাটি মূলত ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য নতুন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে। ‘সবার জন্য টিকা এবং সবার জন্য ঔষধ’ প্রয়োগে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের কার্যকারিতা যাচাই করা। এসময় তিনি আরো বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম এলাকায় ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হবে। এলাকার জনগণকে সচেতন করার জন্য এই গবেষণা কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, ম্যালেরিয়া নির্মূলে এক মাস পর পর মোট ৩ বার টিকা ও ঔষধ খাওয়ানো হবে এবং এক বছর পর বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া নির্ণয়ের জন্য ৬ মাস পর পর মোট পাঁচবার রক্ত নেয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে লামা ও আলীকদম উপজেলায় এই গবেষণা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানা যায়।

Facebook Comments Box
Share: