আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নানা ধরনের অপকর্ম করে বিএনপি-জামায়াত এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয় সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের যাত্রাপথ এত সহজ না। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়।
অনেক চক্রান্ত এ বাংলাদেশকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনা মূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরতে হয় না।
টুঙ্গিপাড়ার মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশসেবা করার সুযোগ পাচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত নির্বাচন নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র ও বাধা-বিপত্তি ছিল। বিরোধিতা সত্ত্বেও ৭৫-পরবর্তীকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’
চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়।
কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে।’ এই আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।