তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে মামলায় আদালত থেকে আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে বাদীকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী নারী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় একটি জিডি( নং ১২১৭) দায়ের করেছেন। এদিকে থানায় জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে
আসামীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা দিয়ে ধাওয়া দিয়ে আক্রমন করে প্রবাসী নুর মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে । এসময় এনজিও
সংস্থা আশা সমিতির সদস্যা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং প্রানে রক্ষা পান তিনি। এর আগে বুধবার সকালে নারী নির্যাতন মামলার আসামী জয়নাল মিয়া, কাদির মিয়া ও আব্দুর রহমান মনোয়ারা বেগমের একটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
কুলাউড়া থানায় দায়েরকৃত জিডি সুত্রের বরাতে জানা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী নুর মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে একই
গ্রামের শফিক মিয়া(৫০), আব্দুর রহমান (৪০) ও জয়নাল মিয়াকে আসামী করে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে গত ১ সপ্তাহ থেকে নানাভাবে ঐ নারীকে হুমকি ধামকি দিয়ে তার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে জয়নাল মিয়া, কাদির মিয়া ও আব্দুর রহমান দেশীয় অস্ত্র দা নিয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় আমার চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী
ঘরে মিটিং এ থাকা এনজিও সংস্থার লোকজন এগিয়ে আসলে আমি প্রানে রক্ষা পাই। আমাকে প্রানে মারার জন্য তারা বিভিন্ন কৌশল করছে। আমার জীবন সংকটাপন্ন। আমি এর প্রতিকার ও নিরাপত্তা চাই।
এব্যাপারে কর্মধা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল কাদির জানান, প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ারার একটি গরু চুরির অভিযোগ পেয়েছি এবং মহিলাকে সকালে দা দিয়ে প্রানে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়েছি এবং তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি(তদন্ত) কৈসন্যু জানান, প্রবাসীর স্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় থানায় বিষয়টি উল্লেখ করে সাধারন ডায়েরীভুক্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।