লাবিব হাসান, পটুয়াখালী: বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়াই মোটামোটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনের ভোট গ্রহন। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্তিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।পটুয়াখালী-১ সদর আসন মহাজোটকে ছেড়ে দেয়ায় ছিলনা নৌকায় ছিলনা নৌকার প্রাথী। পটুয়াখালী-২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এই আসনে নৌকা প্রতীক ছিল সুবিধাজনক আবস্থানে। তবে পটুয়াখালী-৩ ও ৪ নৌকা প্রতীকের প্রাথীদের পড়তে হয়েছে নিজ দলের প্রাথীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে।
পটুয়াখালী-১ (সদর, মিজাগঞ্জ, দুমকী) আসনে মোট প্রার্থী ছিল ৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৯। ভোট কক্ষ রয়েছে ১০০২। ৪,৭৩,২৫৭ জন ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৮৮ জন এবং পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৬০ জন। এরমধ্যে জাতীয় পাটির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট।। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীক নিয়ে নাসির উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট। পটুয়াখালী -১ আসনের মহা জোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৫৪ হাজার ৬৩৪ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল উপজেলা) মোট প্রার্থী ছিল ছয়জন। মোট কেন্দ্র ১১৪টি। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩০০ জন। এরমধ্যেনারী ভোটার ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৫১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৪৮ জন। এ আসনে আ স ম ফিরোজ (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহসিন হাওলাদার ( লাংগল প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৮ ভোট। ১লক্ষ ২১ হাজার ৩৫১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আ স ম ফিরোজ (নৌকা প্রতীক)।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা) আসনে প্রার্থী ছিল চারজন। গলাচপিয়ায় মোট ভোট কেন্দ্র ৮০টি । মোট ভোটার : ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৫১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৪৬ জন। অপরদিকে দশমিনায় মোট ভোট কেন্দ্র ৪৪ টি। পুরুষ ভোটার ৫৭ হাজার ৪০৩ জন এবং
মহিলা ভোটার ৫৬ হাজার ৭৭৯ জন।এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম শাহজাদা (নৌকা মার্কা) পেয়েছেন: ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট
নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী লে.জেনারেল (অব:) আবুল হোসেন (ঈগল মার্কা) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট। মোট ৩৫ হাজার ৩ শ ৯২ ভোট পেয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী এসএম শাহজাদা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাংগাবালী উপজেলা) প্রার্থী ছিল ৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১০টি। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯০ হাজার ২৩৮ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪২২জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮১৩ জন। এ আসনে মহিব্বুর রহমান মহিব (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭৫৫ ভোট । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান (ঈগল প্রতীক) পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮১ ভোট। ১৮ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিব্বুর রহমান মহিব (নৌকা প্রতীক)।