April 23, 2024, 9:48 pm
সর্বশেষ:
লোহাগাড়ার ইউএনও`র সাথে লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির নব গঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে বান্দরবানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : শার্শায় তিন পদে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শার্শায় ৬টি সোনারবার উদ্ধার, আটক ১ সোনারগাঁ বারদী বাজারের ৫০ টাকার খাজনা ৫০০ টাকা মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের উদ্বোধন বাগআঁচড়া চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার যুবক চট্টগ্রামে র‌্যাবের পাতা ফাঁদে আঁটকে গেল ৪ চাঁদাবাজ আমিরাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ, সভাপতি জব্বার ফিরোজ, সম্পাদক জাহেদ

৮৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের করোনা জয়

  • Last update: Monday, June 1, 2020

রাজশাহীর মোহনপুরে করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়ে প্রায় ৩৫ দিন পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৮৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমান। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ছিলেন।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা ও করোনা মুক্ত হওয়ার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এরআগে গত ২৮ মে করোনা যুদ্ধে জয়ী আরও তিনজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এরা হচ্ছেন উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছী গ্রামের জেসমিন (২৪) ও আলামিন (২৫) জাহানাবাদ ইউনিয়নের তশোপাড়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন (২৮)। তারা তিনজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর-ঢাকা ফেরত। তবে মনসুর রহমান বাড়িতে থেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার করোনা জয়ী মনসুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুল কবীর। এসময় তাকে ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও উপহার দেয়া হয়। একই সময়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

এরআগে গত রোববার মনসুর রহমানকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।
মনসুর রহমানের বাড়ি উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের নওনগর গ্রামে। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর এক ছেলে ও চার মেয়ে। ছেলের সঙ্গে তিনি গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন।

করোনা জয় করে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনসুর রহমান বলেন, ‘আমি যদি রোগশোক নিয়ে এই বয়সে করোনা থেকে মুক্ত হতে পারি, তাহলে মনোবল থাকলে সবাই এই রোগে জয়ী হতে পারবেন।’
মনসুর মাস্টার জানান, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাঁকে একা থাকতে হয়েছে। এই বয়সে একা থাকাটা তাঁর জন্য একটু কষ্টই ছিল। তবে পরিবারের লোকজন, চিকিৎসক ও উপজেলা প্রশাসন এবং মোহনপুর থানার পুলিশ সময় তার পাশে ছিলেন। সেজন্য ভয় অনেকটা কেটে যায়। মানুষ মানুষের পাশে থাকলে এ রোগেও কোনো ভয় নেই।

পরিবার ও চিকিৎসকেরা জানান, মনসুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছেন। গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড) ভর্তি করেন।

এরপর তাঁর এক্স-রে ও ইসিজি করার পর শারীরিক অবস্থা ভালো জানিয়ে ২১ এপ্রিল দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন সেদিন তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর ওই বৃদ্ধের জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ২৫ এপ্রিল তাঁকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ওইদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ২৬ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
মনসুরের ছেলে আল-আমিন সরকার জালাল জানান, বাবা এই বয়সে করোনা জয় করলেন। এটা এখন তাঁদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাছে রেখে সেবা দিলে খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যাবে বলে মনে করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুল কবীর বলেন, তাঁর সুস্থ হওয়াটা অনেকের কাছে বিস্ময়কর লেগেছে। তিনিই সম্ভবত বাংলাদেশে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, যিনি এই বয়সেও করোনামুক্ত হলেন। তিনি আগে থেকেই হৃদরোগসহ নানা অসুখে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় এই বয়সে তিনি করোনা যুদ্ধে জয়ী করে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। মোহনপুরে করোনা শনান্তের সংখ্যা ৭ জন। এর মধ্যে ৪ জন সুস্থ্য হয়েছেন।

উৎসঃ মানবজমিন

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC