এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম: আসন্ন ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরী পরিণত হতে যাচ্ছে স্মরণকালের এক ঐতিহাসিক জনসমূদ্রে। লালদীঘির মাঠে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের উদ্যোগে বিভাগীয় বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন—এ সমাবেশে বিপুল জনসমাগম ঘটবে এবং লালদীঘি থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত জনতার ঢলে ভরে উঠবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মামুনুল হক।
প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমির ডা. শফিকুর রহমান। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন-এর আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহামদ আব্দুল কাদের, জাগপা সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন সহ ৮ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা/মহানগরীর নেতৃবৃন্দ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিনসহ আট দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, আগের সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার এবং আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে এই বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “জুমার নামাজ শেষে লালদীঘির মাঠে সমাবেশ শুরু হবে। কোটি মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতেই আমরা গণভোটের দাবি তুলি। গণভোট ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সত্যিকারের ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।” মুহাম্মদ শাহজাহান আরো অভিযোগ করে বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে এবং সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে গভীর সংকটে ফেলেছে।”
