বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও এ নির্বাচন খারাপ হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আশাবাদী ছিলাম। আমি বিশ্বাস করেছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৮ সালের নির্বাচনে তবুও কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ভোট দিয়েছিলেন। এবার সেই পরিমাণ লোকও ভোটকেন্দ্রে যাননি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পানি তাই ভোট দিতে যাননি। সাধারণ ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি। প্রকৃতই যদি হেরে থাকি তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানও হেরেছেন। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী কাদের সিদ্দিকীর আগে একজনও নেই। পরে আছে কিনা বলতে পারবো না। এ পরাজয় যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়। মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চায় না অথবা মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না। যদি ধরে নেওয়া হয় নির্বাচনে আমরা সত্যিকারভাবে হেরেছি। তাহলে মানুষ এসব কিছু থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। আর যদি এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়, কারচুপি বলা হয়, ডাকাতি বলা হয় তাহলে সেটা অন্য জিনিস।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভোটের আগেও স্বস্তিতে ছিল না। আগামী দিনগুলোতেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। আমি নির্বাচন করেছি অনিয়ম হয়েছে কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দিব নাকি, তাই কোথাও অভিযোগ দেইনি।
এসময় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।