April 25, 2024, 5:19 pm

হাসপাতালের বেড বাড়িতে নিচ্ছিলেন চিকিৎসক, আটক করলো এলাকাবাসী

  • Last update: Wednesday, June 16, 2021

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী থাকার একটি বেড কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বাড়িতে নেওয়ার সময় এক চিকিৎসককে আটক করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট রোড এলাকার কমিউনিটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বেডসহ ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম একেএম শাহীনুর রহমান। তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার। পাঁচ বছর ধরে হাসপাতালটিতে চাকরি করছেন। গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, আজ দুপুরে ভ্যানে করে হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহৃত একটি বেড নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা ভ্যানটিকে আটক করে। এ সময় ডা. শাহীনুর রহমান স্বীকার করেন, এটি তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। অনুমতিপত্র বা কোনও বৈধ কাগজপত্র আছে কি-না জানতে চাইলে চিকিৎসকের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগবিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে রংপুর প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে চিকিৎসক শাহীনুর রহমান জানান, তার মা দেড় মাস ধরে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। বর্তমানে কেবিনে রাখা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নেওয়ার কথা রয়েছে। বাড়িতে যাতে থাকতে অসুবিধা না হয়, এ কারণে হাসপাতালের স্টোর রুমে পড়ে থাকা পুরনো বেডটি লিখিত দিয়ে তিনি বাসায় নিচ্ছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়াতে তা আটক করে। কোনও প্রমাণপত্র দেখাতে না পারায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বেডটি হাসপাতালে ফেরত দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ চিকিৎসক বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের নবম গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছি। হাসপাতালের সম্পদ নষ্ট হোক, এমনটা কখনও করিনি। শুধুমাত্র মানবিক দিক থেকে নিজের মায়ের থাকার সুবিধার কথা চিন্তা করে স্টোরকিপার বেলাল ও ৩০নং ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতাকে অবগত করে মুচলেকার মাধ্যমে বেডটি নিয়েছিলাম। আমার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিলো না। তবে আজকের ঘটনার পর অনুভব করছি, এটা নেওয়া আমার ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের স্টোরকিপার বেলাল হোসেন এবং ৩০নং ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বেডটি তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে আইনগতভাবে তার বেড নিয়ে যাওয়া সঠিক হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতাল থেকে সরকারি বেড নিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে জানানো হয়নি। তবে ওই চিকিৎসক তার মায়ের জন্য স্টোরকিপার ও ওয়ার্ড ইনচার্জকে অবগত করে হাসপাতালের পুরাতন একটি বেড বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে শুনেছি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে পরিচালকের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতাল থেকে বেডটি বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC