আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: ভূমিষ্ঠ হয়েই চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখলো নতুন শিশু। কিন্তু তার জন্মে খুশি হয়নি পরিবার। জন্মের পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্য ব্রিজ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হলো নিচে।

কিন্তু স্থানীয়রা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করলেও তার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে ভর্তি করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের ডাক্তারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে নবজাতক শিশুটি মারা যায়।

ভূমিষ্ঠ হয়েই চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখলো নতুন শিশু। কিন্তু তার জন্মে খুশি হয়নি পরিবার। জন্মের পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্য ব্রিজ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হলো নিচে। কিন্তু স্থানীয়রা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করলেও তার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে ভর্তি করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের ডাক্তারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে নবজাতক শিশুটি মারা যায়।

ভূমিষ্ঠ হয়েই চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখলো নতুন শিশু। কিন্তু তার জন্মে খুশি হয়নি পরিবার। জন্মের পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্য ব্রিজ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হলো নিচে।

কিন্তু স্থানীয়রা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করলেও তার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে ভর্তি করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের ডাক্তারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে নবজাতক শিশুটি মারা যায়।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে।

সাতক্ষীরা আশাশনি উপজেলার কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাছেত হারুন চৌধুরী জানান, আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রিজের নিচে ফেলে রাখা নবজাতক কন্যা শিশুটি উদ্ধার করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক-এমপির নির্দেশনা মোতাবেক ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পরামর্শে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, গুনাকরকাটি ব্রিজের উপর থেকে ফুটফুটে নবজাতককে নদীর চরে ফেলে দেওয়া হয়। অনেক উপর থেকে ফেলে দেওয়ার কারণে তার মাথা ফেটে রক্ত ক্ষরণ হয়। বাচ্চাটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধায় দিকে মারা যায়।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী জানান, শিশুটির সুস্থতার জন্য সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। কে বা কারা শিশুটিকে ব্রিজ থেকে ফেলে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১২ জুলাই দুপুরে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জের এক পুকুর থেকে ১মাস বয়সী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন দুপুরে শিশুটির মা আফরোজা খাতুন ঘুমিয়ে পড়লে তাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে পারশেখালী গ্রামের বেলাল হোসেন ও আফরোজা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে আসছেন।বেলাল শ্রমিক হিসেবে ঢাকায় রয়েছে। ১২ জুলাই দুপুরে বেলালের স্ত্রী আফরোজা খাওয়া দাওয়া শেষে ১ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। এরপর ঘুম থেকে উঠে দেখে শিশুটি পাশের পুকুরে ভাসছে।
বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে কিভাবে ১ মাস বয়সী শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেলো? তা তদন্ত করা হচ্ছে।