আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার অধিকাংশ কিশোর গ্যাং লিডার এখনো অধরা। অপকর্মে জড়িত কিশোর গ্যাং লিডারদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও সফল হচ্ছে খুব কম ক্ষেত্রে। সাতক্ষীরা সদর থানার দক্ষিণ কাটিয়া মাষ্টার পাড়া এলাকায় বুধবার দিনে দুপুরে চাইনিজ কুড়াল উঁচিয়ে কোপমারা ব্যক্তিরাও কিশোর গ্যাং লিডার বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর, মনজিতপুর,কাটিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, সরকারি দপ্তরগুলোতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, মুদি ব্যবসায়ী, জমি দখল, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা কোণঠাসা করাসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রুপিং, সংঘর্ষ্, ও ফেনসিডিল বহনের মত ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং লিডাররা। আর গ্রুপ ভারী করতে কিশোর তরুণদের বিপথগামী করে তুলছে এরা। পুলিশের হাতে কিশোর গ্যাং লিডারদের একটি তালিকা রয়েছে। তবে এ তালিকার অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সাতক্ষীরা অপরাধপ্রবণ এলাকার শীর্ষে রয়েছে সুলতানপুর,মনজিতপুর ও কাটিয়া এলাকা। এখানে ভয়ংকর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাব্বির। তার গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য কিশোর ও দুর্ধর্ষ অপরাধী। তাদের দিয়ে সাব্বির সাতক্ষীরার সব মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত ও সড়কের পাশের দোকান, নির্মাণাধীন ভবন, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন খাত থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালাচ্ছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারী গ্রুপ। সুমন ও আরিকের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল বহন এবং চাঁদাবাজি আইনে ১ টি মামলা হয়েছে সম্প্রতি যার কেস নং জি আর—৭৭২/১৯। বেশ কিছু মামলা রয়েছে বিচারাধীন। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করার পাশাপাশি দ্বিগুণ উৎসাহে অপকর্ম করে চলেছে এই সাব্বির। তার সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম হলো আরিক(ইটাগাছা ), নয়ন (রেজিষ্ট্রী অফিস পাড়া , জয় মনজিতপুর, সুমন রেজিষ্ট্রী অফিস পাড়া। এমনকি একলক্ষ টাকা চাঁদার জন্য সানজিদ আল সাজিদ ১৬ নামে এক কিশোরকে চাইনিজ কুরুল দিয়ে মাথায় কোপমারে আরিক ইটাগাছা।কিছুতেই সাব্বির বাহিনীর ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সাতক্ষীরা থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে ভয়ংকর এ সন্ত্রাসী গ্রুপটির লাগাম টানতে পারছে না।
সাব্বির, মাহমুদুলের ছেলে কিশোর গ্যাং চক্রের লিডার। বুধবার ২৮ জুলাই সাতক্ষীরা সদর দক্ষিণ কাটিয়া মাষ্টার পাড়ায় একলক্ষ টাকার চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে চাইনিজকুরুল কোপাকুপি ও হামলার ঘটনা ঘটে।এতে দুইজন মারাত্বক আহত হয়। ওই ঘটনায় ভাড়াটে হিসাবে যাওয়া আরিক নিজেই চাইনিজকুরুল দিয়ে কোপ মারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় কিশোর গ্যাং সদস্য আরিক আসামী। তবে পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এই মামলার তদন্ত অফিসার এস আই শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামী সাব্বির গ্রেফতার হয়েছে বাকি ৬ জন আসামীকে খোঁজা হচ্ছে । এস আই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন সাতক্ষীরা নগরীতে কিশোর গ্যাং থাকবে না। যেসব কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তারা সবাই পলাতক। পাওয়া গেলেই গ্রেফতার করা হবে।