April 25, 2024, 10:44 am

শার্শার কাছারি জমি উদ্ধারে বিলম্ব

  • Last update: Tuesday, May 4, 2021

যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় ৩৫ শতক সরকারি কাছারি বাড়ির জমি খাস খতিয়ানে ও দখলে আনয়ন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিভিল স‍্যুট শাখার গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে ০৫.৪৪.৪১০০.০৩১.০৫.০০১.২০-২২০৫ নং স্মারক বিজ্ঞ আদালতে এল,এস,টি/দেওয়ানী মামলার জন্য জিপি দপ্তরকে চিঠি প্রদান করেন। তারই প্রসঙ্গে সরকারি বিজ্ঞ আইন কৌশলী মতামত দিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসনকে। যা প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হতে চলেছে , কিন্তু এখনো জমি উদ্ধারে দখলকারীদের কোন নোটিশ দেওয়া হয় নি বলে জানা গেছে । শার্শা থানার পিছনে প্রায় দেড়কোটি টাকা মূল্যের ঐতিহ্য সরকারি কাছারি-বাড়ির জমি দখলকারী হলো স্থানীয় ফজলুর রহমানের ছেলেরা জসিম উদ্দীন, কবির উদ্দীন ,মনির উদ্দীন ও ঈমাম উদ্দীন।বাংলাদেশ সরকারের ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৭২নং শার্শা মৌজার এস,এ ১২৫৫ দাগের ৩৫ শতক কাছারি বাড়ির জমি। এই জমির মধ্যে রয়েছে হাজার মানুষের চলাচলের সরকারের নির্মাণের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের সরকারী ড্রেন।

বিগত ১৮.০২.২১ তারিখের ২৮ নং স্মারকে-বিজ্ঞ সরকারি আইনজীবী জনাব বাহাউদ্দীনের স্বাক্ষরিত একপত্রে জমিটি নিয়ে মতামত উল্লেখ্যে করেছেন, শার্শার স্থানীয় কিছু কতিপয় ব‍্যক্তি ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে খাস খতিয়ানভুক্ত কাছারি-বাড়ির জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়াছে । তাই আইনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় আইন ও প্রজাস্বাত্ব আইনের ২০(এ)ধারা মতে কাছারি বাড়ি,জলমহাল,হাট-বাজার,নদী শ্রেণির জমি কোন অবস্থাতেই ব‍্যক্তি মালিকানায় থাকার যোগ্য নহে । তাই সরকারের স্থানীয় প্রশাসন এই সব সম্পত্তি ব‍্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড লিপিবদ্ধ হইলেও উল্লিখিত আইনের বিধানমতে মিস কেস রুজু করিয়া সরকারের নিজ দখলে আনয়ন করতে পারেন । আরো বলেন, ইত‍্যবৎসরে নালিশী জমিটি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিদর্শন করিয়ে ঐ জমির উপর অবৈধভাবে(দখলদার) বসবাসকারীদের উপর ব‍‍্যবস্থা গ্রহনের জন্য মিস কেস প্রস্তুত করিয়া নোটিশ(Notice)প্রদান সাপেক্ষে শুনানি অন্তে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে পারেন । ও তার কাটার বেড়া দিয়ে এই ৩৫ শতক জমি সরকারের দখলে আনয়ন করিয়া প্রয়োজনে আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য সুপারিশ মালা প্রস্তুত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে।

উল্লেখ্য সরকারি জমি উক্ত স্থানের কতিপয় ব‍্যক্তিগত ১৯৯৯ সালে স্বত্ত্বের দাবিতে বাদী জসিমসহ অন্যরা ও বিবাদী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডিসিসহ অন‍্যান‍্য, শার্শা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দাখিল করে যার নং ৮৯/৯৯ যা এখনো চলমান। বিজ্ঞ শার্শা সহকারী জজ আদালত গত ০২/০৭/২০০১ ইং তারিখে একটি আদেশ দেয় যা সরকার পক্ষে রায় আসে এই আদেশের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে একটি সিভিল রিভিশন মামলা দাখিল করে যাহার নং ৮১/২০০২ ।মোকাদ্দমাটি গত ১৪/১১/২০১৮ তারিখে রায় হয় যা সরকার পক্ষে রায় আসে এবং শার্শা সহকারী জজ আদালতের দেং ৮৯/৯৯ নং মোকাদ্দমায় গত ইং ০২/০৭/২০০১ তারিখের আদেশ বহাল রাখেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। তাই নতুন করিয়া দেওয়ানী মামলা দায়ের করিবার প্রয়োজন নাই।

এদিকে বুরুজবাগান ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানান, দখলদাররা সরকারি নিয়মনীতি ভেঙে অবৈধভাবে পুরাতন কাছারি ঘর ভাঙ্গিয়া নিজেরা পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে। তিনি আরো জানান, বুরুজবাগান ভূমি অফিসের রেকর্ড পত্র যাচাই করিয়া দেখা গেছে তাদের যে কাগজপত্র রয়েছে তা ভূয়া ও শার্শা উপজেলা ভূমি অফিসে পাওয়া যায় নি। এই জমি ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত।

রাস্তা ও ড্রেন ব‍্যবহার নিয়ে দখলকারীদের সাথে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে বলে মনে করে এলাকাবাসি।তাই তাদের দাবি জমি যেন দ্রুত সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত হয়,এজন‍্য জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে।

এদিকে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার রাসনা শারমিন মিথিকে তার মুঠোফোনের (০১৩১৮-২৫**৪০) এই নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ হয় নি।

অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান জানান , জিপির আইনগত পরামর্শ পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে ,জিপির মতামতের ভিত্তিতে জমিটি খাস খতিয়ানে কিভাবে আনা যায় জরুরী দেখা হচ্ছে । পরবর্তী নির্দেশনা জানানো হবে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC