সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় দেশীয় সংস্কৃতি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরামের আয়োজনে রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আমিরাতের শারজায় বাংলাদেশ সমিতি’র হলরুমে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। বিকেল থেকে পিঠা উৎসবে নারী পুরুষ ও শিশুদের উপছে পড়া ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
নানা জাতের নানা পদের বিভিন্ন রঙের গরম ও শীতের রসালো পিঠায় ভরে উঠে প্রতিটি স্টল। নানা রকমের নকশি পিঠা দিয়েও সাজানো হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রিয় পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি পিঠা, ঝাল পাটিসাপটা পিঠা, খলা ঝালি পিঠা, নারকেল নাড়ু, পাটিসাপটা, বাশবোশা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের পিঠা পরিবেশন করা হয়।
পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনি, অধ্যাপক আব্দুস সবুর, যুগ্ম সম্পাদক মোদাসসের শাহ, কামাল হোসেন সুমন, আমিরাত সংবাদের সসম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, শাফায়াত উল্লাহ, মেহেদি মোল্লা, জাসেদুল ইসলাম,নওশের আলম, তোফায়েল প্রমুখ।
বিদেশের মাঠিতে দেশীয় পিঠা উৎসবের আমেজ তৈরি করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আয়োজকরা। পিঠা উৎসবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারায় অনেক প্রতিযোগীকে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়।
পিঠা উৎসবে পিঠার স্বাদের ভিত্তিতে স্টলগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও আগত দর্শকদের জন্য ছিল র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে ফ্লাইটের টিকিটসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার।