রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে । উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে । এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে রৌমারী ঢাকা মহাসড়কের উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন, স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। পরে বক্তব্য শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে সচিব স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় । স্থানীয় সাংবাদিক মতিয়া রহমান চিশতীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাংবাদিক এস এম সাদিক হোসেন, রফিকুল ইসলাম সাজু, শফিকুল ইসলাম, শওকত আলী মন্ডল, মাসুদ পারভেজ রুবেল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, সুজন মাহমুদ, ইয়াসির আরাফাত নাহিদ, মাসুদ রানা ও শহীদুল্লাহ কায়সার লেবু প্রেমুখ । মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক শাহ আব্দুল মোমেন ।
বক্তারা বলেন গত ৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় যাত্রামঞ্চে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান, এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় । এতে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী । সোমবার দুপুর ২ টার দিকে হাটবাজারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্যালয়ে ডাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে দৈনিক বাংলার রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ সহ তার বাবা-মায়ের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেন চেয়ারম্যান । তার এমন আচরণে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের নামে মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি সহ অশালীন মন্তব্য করেন তিনি । পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রৌমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক মাসুদ রানা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা । অভিযোগের বিষয় কথা হয় রোমারি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে হাজারো মানববন্ধন করলেও কোন লাভ হবে না । রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এতে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়