রুপার নিখোঁজের রহস্য ঘনীভূত: স্বামীপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের উদনাছড়া মগলাম বস্তির চা শ্রমিক নন্দ সবর ও যমুনা সবরের মেয়ে রুপা সবর (১৫) নিখোঁজ হওয়ার এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ রুপার পরিবার অভিযোগ করেছে, তার স্বামী শয়ন পট্টনায়কসহ (পিতা: মৃত কুমদ পট্টনায়ক) শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা রুপাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে।

প্রতিবেশীদের বরাতে জানান, প্রায় এক বছর আগে শয়ন পট্টনায়কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রুপা সবরের। ২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই বিয়ের প্রলোভনে অপ্রাপ্তবয়স্ক রুপাকে নিয়ে পালিয়ে যায় শয়ন। এরপর রুপাকে প্রায় এক বছর অন্যত্র লুকিয়ে রাখার পর কয়েক মাস আগে বাপের বাড়িতে ফিরে এসে মা ও স্ত্রী’কে নিয়ে বসবাস শুরু করে।

এলাকার বাসিন্দা দীপেন সবর, মিলন সাঁওতাল ও গোলাপ রাজ বল্লব বলেন, শয়ন প্রায় এক বছর রুপাকে লুকিয়ে রেখেছিল। কয়েক মাস হলো তাকে বাড়িতে এনেছে। তবে গত ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে রুপাকে দেখা যাচ্ছে না। তার বাবা-মা ও খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

শয়নের ভাই বচন পট্টনায়ক জানান, নন্দ সবর আমার বায়রা হন। আমার ভাই রুপাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় এক বছর বাহিরে ছিল। পরে বাড়িতে আসে। কিছুদিন আগে শয়ন ও রুপার মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল, পরে মিমাংসা ও হয়। এরপর থেকেই মেয়েটিকে আর দেখি না। কী হয়েছে, জানি না—আমার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কও নেই, মামলা-মোকদ্দমা চলছে।

নিখোঁজ রুপার বাবা নন্দ সবর বলেন, শয়ন খুব জেদি প্রকৃতির। প্রায়ই রুপাকে মারধর করত। আমাদের ধারণা, শয়নই রুপাকে হত্যা করে গুম করেছে।

রাজঘাট ইউপি সদস্য জয়দেব ঘোষ বলেন, নন্দ সবর এবং শয়ন দু’জনেই আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি শয়নকে বলেছি তোমার স্ত্রী হারিয়েছে, তুমি থানায় জিডি করছো না কেন? রুপার পিতা নন্দ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। দুই দিন আগে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে তিন দিনের সময় দিয়েছে খুঁজে বের করার জন্য। একটি মেয়ে এতদিনেও খোঁজ পায়নি ব্যাপারটি কি রকম বিষয়।

Facebook Comments Box
Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *