রিয়াদ সিজন ২০২৫: বিনামূল্যে প্রবেশের চমক নিয়ে আবারও খুললো রিয়াদ চিড়িয়াখানা

রিয়াদ সিজন ২০২৫-এর অংশ হিসেবে সপ্তাহান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে রিয়াদ চিড়িয়াখানা। উদ্বোধনী উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

আল-মালাজ এলাকায় ১ লাখ ৬১ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানায় ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে রাখা হয়েছে ১,৬০০–রও বেশি প্রাণী। প্রতিটি অঞ্চলই তৈরি করা হয়েছে প্রাণীদের স্বাভাবিক আবাসস্থলের মতো—দক্ষিণী বন, জলাভূমি, উপকূলসহ নানা পরিবেশের আদলে। দর্শনার্থীরা প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো, তথ্যবহুল কর্মশালা ও নানা অভিজ্ঞতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

২০২৫ সালের জন্য যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু আকর্ষণীয় আয়োজন—এর মধ্যে আছে ‘এলিফ্যান্ট এক্সপেরিয়েন্স’, যেখানে হাতিদের কাছ থেকে দেখার বিশেষ সুযোগ মিলবে। রয়েছে জিরাফ ও আফ্রিকান প্রদর্শনী, যেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে উঁচু প্ল্যাটফর্ম থেকে দেখার সুবিধা।

এ ছাড়া প্রতিদিন সার্কাস, ম্যাজিক শো, এবং পুরো চত্ত্বরে ঘুরে বেড়ানো সংগীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মনোরঞ্জন করবে। চিড়িয়াখানায় রয়েছে খাবার ও নাস্তার নানা অপশন, খুচরা পণ্যের দোকান এবং শিশুদের জন্য বিশেষ কার্যক্রমের এলাকা।

রিয়াদ চিড়িয়াখানা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং একসঙ্গে ১২ হাজার দর্শনার্থী ধারণ করতে পারে। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ‘উইবুক’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানায় আফ্রিকান হাতি, চিতা, জিরাফসহ আরবীয় চিতাবাঘের মতো বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। একসময় এটি রিয়াদ জুলজিক্যাল গার্ডেনস নামে পরিচিত ছিল এবং এটি মূলত কিং সাউদ ও সৌদি রাজপরিবারের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৮৭ সালে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

২০০৮ সালে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেলে চিড়িয়াখানাটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। সংস্কারের পর অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শনার্থীর সংখ্যা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

Facebook Comments Box
Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *