র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ কেসিনোর(জুয়ারী) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৪/১২/২০২০খ্রিঃ তারিখ ২৩.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানাধীন মুন্সিখোলা সাকিনস্থ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৯ জন জুয়ারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। আব্দুল মোমিন (৫০), ২। মোঃ মজিবুর রহামান শিকদার (৪৮), ৩। মোঃ কালু ড্রাইভার (৪০), ৪। মোঃ রনি (৩০), ৫। মতিউর রহামান (৫৮), ৬। মোঃ খলিল (৩৮), ৭। মোঃ স্বপন মিয়া (৩৫), ৮। হাজী নজরুল ইসলাম (৫০), ৯। মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪২), ১০। মোঃ নয়ন (২৯ ১১। মোঃ সুমন (৪৮), ১২। মোঃ বুলু (৬৩), ১৩। মোঃ সুমন (২৮), ১৪। মোঃ তৌয়ব খান (৩২), , ১৫। মোঃ ছিদ্দিক (৪৫), ১৬। মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৫), ১৭। মোঃ সোলায়মান (৩১), ১৮। মোঃ আদু (৩০) এবং ১৯। মোঃ মামুন (৪২) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ১৮ টি মোবাইল ফোন, ০৭ (সাত) প্যাকেট ও খোলা অবস্থায় ৪৬৮ (চারশত আটষট্টি) পিস জুয়া খেলার কার্ড ও নগদ- ৫২,৩০০/- টাকা জব্দ করা হয়।

এবং একই তারিখ ২৩.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাবের অপর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার চকবাজার মডেল থানাধীন, ১৭/১, রহমতগঞ্জ এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় আরও ১৯ জন জুয়ারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আলমগীর (৩১), ২। আব্দুর রহিম (৪৫), ৩। মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (৩২), ৪। মোহাম্মদ হাসান (৩৫), ৫। মোঃ রুবেল (৩৫), ৬। মোহাম্মদ এনামুল (২৪), ৭। মোঃ আব্দুস সালাম (৪২), ৮। মোহাম্মদ জাকির (৩২), ৯। মোঃ মিজানুর রহমান (৪৪), ১০। মোঃ কবির (২৩), ১১। মোঃ ভুট্টো (৩৩), ১২। মোঃ শুকুর মিয়া (৫২), ১৩। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪৭), ১৪। মোঃ ইমরান (২৮), ১৫। মোঃ মিরাজ (৩০), ১৬। মোহাম্মদ আজিজুল (৩১), ১৭। মোঃ হৃদয়(২৪), ১৮। মোঃ ইব্রাহিম (৩২) এবং ১৯। মোঃ আব্দুল করিম (৪৮) বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ১৬ প্যাকেট জুয়া খেলার কার্ড, ০২ টি টাকা জমা রাখার বক্স ও নগদ ৮১,৫০০/- টাকা জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার জুয়ারী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ একে অন্যের সাথে জুয়া খেলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং জুয়া খেলার মাধ্যমে নিজেদের সর্বত্র হারাচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।