March 29, 2024, 1:33 am

যশোর জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার হার বেশি

  • Last update: Thursday, September 17, 2020

যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেলায় গত ৪০ দিনে করোনাভাইরাস আক্রান্তের বিবেচনায় বেড়েছে সুস্থতার হার। ৬ আগস্ট সুস্থতার হার ছিল ৫৮ দশমিক ২৬ ভাগ। সর্বশেষ ৪০ দিনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয় দুই হাজার ১৫ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয় এক হাজার ১৭৪ জন। এরপর থেকে বুধবার পর্যন্ত গত ৪০ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৬৮ জন। যাদের মধ্যে এক হাজার ৩১২ জন সুস্থ হয়েছেন।

যশোর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, বুধবার পর্যন্ত যশোর জেলায় ১৫ হাজার ৪৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ), খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭৩২টি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ৭৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো অপেক্ষাধীন। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদনে তিন হাজার ৬৮৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪৮৬ জন। যা মোট আক্রান্তের ৬৭ দশমিক ৫০ ভাগ। এছাড়া ৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।তিনি আরো বলেন, বুধবার আক্রান্ত চারজনের মধ্যে সদরে দুজন এবং অভয়নগর ও মণিরামপুরে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত মুড়লি দাশ (৮০) ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে রোববার করোনা সন্দেহে মুড়লি দাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এসময় তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। মঙ্গলবার তার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। ওই দিন দুপুরে তাকে করোনা ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। রাতে হাসপাতালের ডাক্তার হুসাইন আলী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১২ এপ্রিল যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের মধ্য দিয়ে এ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০৪ জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ৬৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০৬ জনে। এই মাসে দুই হাজার ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। জুলাই মাস শেষে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৭৮৫ জনে। আগস্টে এক হাজার ৪৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় চার হাজার ৫৩৮টি।
এর আগে ২৭ জুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১৩ জুলাই ৯২তম দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ও ৬ আগস্ট দুই হাজার, ২৬ আগস্ট তিন হাজার ও ৭ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়ায়।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC