বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবানে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা। ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বান্দরবান কেন্দ্রীয় মন্দিরের নিজস্ব প্রাঙ্গণে সনাতনী ঐশ্বরিক সংঘের উদ্যোগে এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে ভোরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সূচনা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা, ভোগ নিবেদন, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, আরতি প্রতিযোগিতা এবং মহাপ্রসাদ বিতরণসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
সকালের পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে পূজামণ্ডপ এলাকা। ভক্তরা জগদ্ধাত্রী মায়ের চরণে নত হয়ে জগতের শান্তি ও সুখ কামনার পাশাপাশি নিজেদের মনোবাসনা পূরণের প্রার্থনা করেন।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, জগদ্ধাত্রী পূজা মূলত দুর্গা পূজার আরেক রূপ। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমীতে এই পূজা পালিত হয়। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার আয়োজন। দুর্গা পূজার পরপরই সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ-উৎসাহে পালন করেন এই জগদ্ধাত্রী পূজা।
সনাতনী ঐশ্বরিক সংঘের সভাপতি কাঞ্চন দেব বলেন, “বর্ষচক্র ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা। যখন সমাজে অশুভ শক্তি মানবিকতার শুভ প্রয়াসকে দমিয়ে রাখতে চায়, তখন দেবী জগদ্ধাত্রী পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে সকল অশুভ শক্তি দূর করেন এবং মানুষের মধ্যে শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে দেন।”
তিনি আরও জানান, “প্রতিবছরের তুলনায় এবার আমরা আরও জাঁকজমকভাবে পূজার আয়োজন করেছি। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন।”
৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে দশমী পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান শেষে মহাশোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা সাংগু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে বান্দরবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব — শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজার।

 
									 
			