রমজানে নিত্যপণ্যের দাম যেন সহনীয় মাত্রা না ছাড়ায়, সেজন্য বাংলাদেশকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে দুদেশের কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রেখে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে, রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।
কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। বলা হয়, শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের বৈজ্ঞানিক পরিদর্শনের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল সেসময়, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনও মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসেবে ভারতে আছি।’
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যাবে। গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগ-সুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।