April 20, 2024, 7:15 am
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্পর্ক আরও বৈচিত্র্যময় করার আহ্বান গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৩ জুয়াড়িকে আটক মিয়ানমার থেকে আরও ১৩ বিজিবি সদস্য বাংলাদেশে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে মোরেলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৪ উদযাপন শার্শায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কালামের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুর্নমিলনী চরভদ্রাসনে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার

বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শার্শায় সভা

  • Last update: Friday, August 14, 2020

মোঃ রাসেল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বাষির্কী উপলক্ষে শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার(১৪ই আগষ্ট) শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে বেনাপোল গাজীপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের  সংগ্রামী সভাপতি যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদের সভাপতিত্বে ও শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের  সাধারণ সম্পাদক  শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  সোহরাব হোসেনের সঞ্চালনায় এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৮৫যশোর-১শার্শা আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল হক মঞ্জু ও  সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান।যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ-উদ-দৌলাহ্ অলক সরদার। শার্শা উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা,সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন।বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কাউন্সিলর আহাদুজ্জামান বকুল ও যুগ্ন আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ ও আঃলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকেরা। শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সর্দার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেল, বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন জোয়ারদার ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামসহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ই আগস্ট হত্যাকান্ড সম্পর্কে প্রধান অতিথি শেখ আফিল উদ্দিন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ শব্দ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল, মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধজাত এই দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু এত সহজেই কি মোছা যায় জনকের নাম আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে? দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই আমরাই তো একমাত্র জাতি যারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি একটি মানুষের ডাকে, একটিমাত্র রণমন্ত্র কণ্ঠে ধারণ করে। সেই মানুষটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেই রণমন্ত্র ‘জয় বাংলা’। কার সাধ্য এ জাতির গতিরোধ করে, যখন এ জাতির উদ্গাতা বঙ্গবন্ধুর মতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর এক সন্তান আর যখন তাঁর বাহুতে আজও বঙ্গবন্ধুরই শক্তি রয়েছে বহমান।

প্রধান অতিথি এমপি শেখ আফিল উদ্দিন আরও বলেন, বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম সেই পুরুষ তিনি, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে (১৯২০-১৯৭৫) স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন গভীর ভালবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যে বন্ধন কোনদিন ছিন্ন হবার নয়। আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। যাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুবর্ণিল, যাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু। যিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস।

এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে। ৪৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী। কবিতার ভাষায়- ‘এই ইতিহাস ভুলে যাব আজ, আমি কি তেমন সন্তান? যখন আমার পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।’

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC