April 25, 2024, 7:38 am

ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাত

  • Last update: Sunday, August 8, 2021

ভুয়া বিল-ভাউচারে সিলেটের শাহজালাল সার কারখানার ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নূর-ই-আলম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। বুধবার (০৪ আগস্ট) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার এজাহারগুলো জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় শাহজালাল সার কারখানার দুই কর্মকর্তা (বহিষ্কৃত) ও আট ঠিকাদারকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- শাহজালাল সার কারখানার সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক (বহিষ্কৃত) খন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল, রসায়নবিদ (বহিষ্কৃত) নেছার উদ্দিন আহমদ, ঠিকাদার হালিমা আক্তার, মো. নূরুল হোসেন, এএসএম ইসমাইল খান, সাইফুল হক, নাজির আহমদ (বচন), মো. হেলাল উদ্দিন, মো. জামশেদুর রহমান খন্দকার ও মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূর-ই-আলম বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করি। ছয় মাস দীর্ঘ তদন্ত করে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করা হয়। বুধবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এজাহার জমা দেওয়া হয়। পরবর্তী তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের এসব মামলার আসামি করা হবে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সার কারখানার বহিষ্কৃত দুই কর্মকর্তা আট ঠিকাদারের যোগসাজশে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার করে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আত্মসাত করেন।

জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জে জরাজীর্ণ হয়ে পড়া সার কারখানা দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকায় কারখানার পাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথম বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে কারখানাটি। তবে নানা কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয় এই কারখানা।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC