April 23, 2024, 2:23 pm
সর্বশেষ:
লোহাগাড়ার ইউএনও`র সাথে লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির নব গঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে বান্দরবানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : শার্শায় তিন পদে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শার্শায় ৬টি সোনারবার উদ্ধার, আটক ১ সোনারগাঁ বারদী বাজারের ৫০ টাকার খাজনা ৫০০ টাকা মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের উদ্বোধন বাগআঁচড়া চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার যুবক চট্টগ্রামে র‌্যাবের পাতা ফাঁদে আঁটকে গেল ৪ চাঁদাবাজ আমিরাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ, সভাপতি জব্বার ফিরোজ, সম্পাদক জাহেদ

ফুটবলার নয়নের ছবি নিয়ে মা কেঁদেই চলেছেন

  • Last update: Tuesday, November 24, 2020

মোঃ রাসেল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: ছেলের অকাল মৃত্যুতে এখনো কেঁদে চলেছেন মা রেহেনা বেগম। কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাকে। ছেলের সার্টিফিকেট, চাকরির কাগজপত্র, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেয়া রেফারি সনদ ও ছবি বুকে জড়িয়ে থেমে থেমে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠছেন।

কোনো সান্তনা স্বপ্নভাঙা মায়ের আহাজারি থামাতে পারছে না। তার চিৎকার আর বুকফাঁটা আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। সান্তনা দেয়া মানুষগুলোও নীরবে অশ্রু ফেলচ্ছে।

ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিভাবান রেফারি মবিনুর রহমান নয়ন। সম্প্রতি যশোরের ঝিকরগাছা-বাঁকড়া আবুল ইসলাম সড়কের বল্লা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয় নয়ন। ছেলের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা রেহেনা বেগম।

ক’দিন বাদেই যার সেনা সদস্য হিসেবে যোগদান করার কথা সেই নয়ন চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়েছেন। যাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করা মায়ের স্বপ্ন ছিল অনেক। উপজেলার বারাকপুর মাদরাসা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসেছিল।

সেই খেলা দেখা আর হয়নি। বাড়িতে ফিরে আসে লাশ হয়ে। নিহত মবিনুর রহমান নয়ন বাঁকড়া গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে। তিনি বাঁকড়া বাজারে মায়ের সাথে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।

মবিনুর রহমান নয়নের মা রেহেনা বেগম বলেন, নয়নের বয়স যখন দুই বছর তখন তার বাবা সামছুর রহমান তাকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। তারপরে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়ি ও পরে বাঁকড়া বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থেকেছেন তিনি। ছোট্ট শিশু সন্তান নয়নকে নিয়ে লোকের বাড়িতে আশ্রয়ী থেকেছেন। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ, মাঠের কাজ, বিচালী কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।লোকের কাছ থেকে ভাত চেয়ে খাওয়াছেন নয়নকে। ছেলেকে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলেন। বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির ২য় বর্ষে পড়ছিল নয়ন।

রেফারি কোর্স করেছে। সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছে। ১৫ দিন পরে চাকরিতে যোগদান করবে। বড় লক্ষী ছেলে ছিল নয়ন। যে কাজে গিয়েছে, সব জায়গায় সফলতা পেয়েছে। কথাগুলো বলার সময় নয়নের মা রেহেনা বেগমের কান্নার বাঁধ থামছিল না।

মা রেহেনা কাঁদতে কাঁদতে নিজের কষ্ট আর ছেলে বড় করার কথা শোনাচ্ছিলেন। এদিকে মবিনুর রহমান নয়নের অকাল মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC