April 25, 2024, 12:34 pm

প্রতিমন্ত্রীর ড্রাইভার ইয়াবাসহ আটক

  • Last update: Tuesday, September 15, 2020

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের মাইক্রোবাসচালক রফিকুল ইসলাম। র‌্যাব ক্রেতা সেজে রফিকুলকে ৬০০ ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

সোমবার রাতে তাকে আটক করে রৌমারী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে পুলিশের হাতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়। জামালপুর র‌্যাব-১৪ সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি এমএম সবুজ রানা বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি বোয়ালমারী গ্রামের মৃত বাবুর উদ্দিনের ছেলে ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। র‌্যাব সদস্য ক্রেতা সেজে সোমবার বিকাল থেকে জন্তিরকান্দা এলাকায় ফাঁদ পাতে।

সন্ধ্যার পর রৌমারী থেকে দেওয়ানগঞ্জ সড়কের মেসার্স রুনা মোটরস অ্যান্ড অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে রফিকুল মাদকের চালান ডেলিভারি দিতে এলে র‌্যাব ৬০০ ইয়াবাসহ তাকে হাতেনাতে আটক করে। জব্দ করা হয় রফিকুলের ব্যবহৃত মোবাইল সেট। র‌্যাবের এসআই কামাল হোসেন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে পুলিশের হাতে আসামিকে সোপর্দ করে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের ‘হাইয়েস মাইক্রোবাস’ চালাতেন ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম। এখন ওই গাড়িটির দেখভাল করেন মন্ত্রীর চাচাতো ভাই আক্তারুজ্জামান বাবু। এ মাইক্রোবাসটি মন্ত্রীর কথা বলে ড্রাইভার প্রায়ই থানায় রেখে যেত। মাদক মামলায় গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত বাবুর উদ্দিনের ছেলে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের চাচাতো ভাই আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, মাইক্রোবাসটির মালিক মন্ত্রী মহোদয়। আমি রৌমারীতে ভাইয়ের হয়ে ব্যবসা ও গাড়িটির দেখভালের দায়িত্ব পালন করি। আর নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়িটি রাখা হয় রৌমারী থানায়। ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম আগে থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে সে এই গাড়িটি নিয়মিত চালাত। ভাইয়ের বিভিন্ন মালামাল ঢাকায় আনানেয়া করত। রৌমারীতে বিভিন্ন সরকারি ও মানবসেবার কাজে মাইক্রোবাসটি ব্যবহৃত হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মন্ত্রীর এই ড্রাইভার গাড়ি এবং ৬ হাজার ২০০ পিচ ইয়াবাসহ আটক হয়। পরে উচ্চপর্যায়ের তদবিরে গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়া হয়। একই সঙ্গে মাদকের পরিমাণও কমে যায়। এ গাড়িটি প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বার ঢাকায় আপ-ডাউন করে। গাড়িতে জাতীয় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো থাকায় বরাবরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যেত। আর গাড়ির গ্যারেজ ছিল রৌমারী থানা। মন্ত্রীর এই ড্রাইভারের সব অপকর্মের ঘটনা সবাই জানে, ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। তাদের দাবি র‌্যাব ছাড়া থানা পুলিশ তাকে আটক করতে পারত না। তবে এ ব্যাপারে র‌্যাবের এএসপি এমএম সবুজ রানা বলেন, কে কী বলল তা জানি না। আমরা মামলায় যা উল্লেখ করেছি তাই প্রকৃত ঘটনা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উৎসঃ যুগান্তর

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC