April 25, 2024, 11:05 pm
সর্বশেষ:
মোরেলগঞ্জে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটে আহত-৪ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সম্পাদক ও যুবদল সম্পাদক সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন ধর্ষন মামলায় ফের আটক আ’লীগ নেতা মুহিবুর লোহাগাড়ার ইউএনও`র সাথে লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির নব গঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে বান্দরবানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : শার্শায় তিন পদে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শার্শায় ৬টি সোনারবার উদ্ধার, আটক ১ সোনারগাঁ বারদী বাজারের ৫০ টাকার খাজনা ৫০০ টাকা মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের উদ্বোধন

নিজের স্ত্রীকে বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী

  • Last update: Saturday, August 29, 2020

জামালপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে জালিয়াতি করে বোন বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বকশীগঞ্জের মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আশরাফুল আলম নামে ওই স্কুল শিক্ষক বকশীগঞ্জ উপজেলার রাবিয়ার চর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমান এর ছেলে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে আশরাফুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার এখন খেয়ার চর ও খালাতো বোন শাপলা আক্তার টুপকার চর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

জানা যায়, আশরাফুল, নাসরিন ও শাপলা ২০১৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। তিনজনই জন্মসনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে বাবা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন। প্রত্যয়নপত্র ও জন্মসনদ নেওয়া হয়েছে মেরুর চর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম মওলা বলেন, “‍মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানকে আমি চিনি। কিন্তু তাঁর কয় সন্তান তা আমার জানা ছিল না। এ সুযোগে আশরাফুল স্ত্রী ও খালাতো বোনকে নিজের বোন বানিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে।

জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়া দুই স্কুল শিক্ষক নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের সরন মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানান, “অভিযুক্ত আশরাফুল আলম জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এখন তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ স ম জামশেদ খোন্দকার জানান, “অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। বাড়িতে গিয়ে আশরাফুল ও তার পরিবারের কাউকে না পাওয়া গেলেও পাওয়া যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হওয়া তার খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে।

শাপলা আক্তার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার চাকরি হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আশরাফুলই তার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আর নাসরিন আক্তারও তার বোন নয়, স্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, তার বাবার নাম বেলাল মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমান আসলে তার খালু।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই তিনজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। ঘটনাটি এর আগেও একবার তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তার ফলাফল কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC