হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমেই হাসপাতালে গেছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান।
শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে জুবাইদার গাড়ি বহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় জুবাইদাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে সরাসরি হাসপাতালে রওনা হন তারেকপত্নী জুবাইদা রহমান।
বিমান বন্দরে জুবাইদাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান ও মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন। এদিকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।
“ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি।
চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধু জুবাইদা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান। এর ১৭ বছর পর দেশে এসে একমাস কাটানোর পর ৫ জুন তিনি লন্ডনে চলে যান।
